মাত্র ১ দিনে নতুন দাঁত

ফাইবার ব্রিজ চিকিৎসা

ফাইবার ব্রিজ হচ্ছে সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত ভাবে নতুন দাঁত প্রতিস্থাপন এর চিকিৎসা পদ্ধতি।

Play Video

ফাইবার ব্রিজ চিকিৎসার সুবিধা

ফাইবার ব্রিজ চিকিৎসার খরচ

Play Video

এই চিকিৎসাটি যে সকল চিকিৎসক প্রদান করেনঃ

প্রচলিত ক্যাপ ব্রিজ ও ফাইবার ব্রিজের পার্থক্যঃ

ক্যাপ ব্রিজ ফাইবার ব্রিজের

ন্যাচারাল দাঁত কাটতে হয়

ন্যাচারাল দাঁত কাটতে হয় না।

পাশের ভালো দাঁত রুট ক্যানেল করতে হয়।

পাশের ভালো দাঁত রুট ক্যানেল করতে হয় না।

৩/৪ ভিজিট ডেন্টাল ক্লিনিকে আসতে হয়।

মাত্র ১ দিনেই চিকিৎসাটি করা যায়।

তুলনামূলক কম কালার ম্যাচিং হয়।

 বেশী কালার ম্যাচিং হয়।

পোর্সেলিন ধাতু দিয়ে ক্যাপ তৈরি করা হয়।

গ্লাস ফাইবার ও কম্পোজিট দিয়ে ফাইবার ব্রিজ তৈরী করা হয়।

 তুলনামূলক কম আরামদায়ক।

তুলনামূলক বেশী আরামদায়ক।

তুলনামূলক বেশী স্থায়ী (১৫-২০ বছর)।

তুলনামূলক কম স্থায়ী (১০-১৫ বছর)।

চিকিৎসাটি সম্পূর্ন ব্যথামুক্ত নয়।

 চিকিৎসাটি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত।

এই পদ্ধতিতে পাশাপাশি থাকা একাধিক মিসিং দাঁত প্রতিস্থাপন করা যায়।

এই পদ্ধতিতে ১ টি মাত্র মিসিং দাঁত প্রতিস্থাপন করা যায়।

 সামনের দাঁতের ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল করতে হয় এবং দাঁতকে কেটে ছোট করতে হয়।

সামনের ক্ষেত্রে দাঁতকে কোনো প্রকার কাটাকাটি করতে হয় না।

 মাড়ির দাঁতের ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল করতে হয় এবং দাঁতকে কেটে ছোট করতে হয়।

মাড়ির দাঁতের ক্ষেত্রে ফাইবার বসানোর জন্য দাঁতকে অল্প পরিমান কাটতে হয়, এত অল্প কাটা হয় যতটুকু কাটলে রোগী কোনো ব্যথা পায় না।

ডেন্টাল ইমপ্লান্ট ও ফাইবার ব্রিজের পার্থক্যঃ

ডেন্টাল ইমপ্লান্ট ফাইবার ব্রিজের

সার্জিকাল পদ্ধতিতে টাইটানিয়াম স্ক্রু চোয়ালে বসিয়ে নতুন দাঁত লাগানো হয়।

ননসার্জিকাল পদ্ধতিতে গ্লাস ফাইবার ও কম্পোজিট দিয়ে ফাইবার ব্রিজ তৈরী করা হয়।

পাশের দাঁতের সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয় না সরাসরী চোয়ালে স্ক্রু বসিয়ে দাঁত লাগানো হয়।

পাশের দাঁতের সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয়।

চিকিৎসার জন্য ৩-৬ মাস সময় এবং ৩-৪ টা ভিজিট প্রয়োজন।

মাত্র ১ ভিজিট এবং ১-২ ঘন্টায় চিকিৎসাটি করা সম্ভব।

 তুলনামূলকভাবে বেশি ব্যয়বহুল।

তুলনামূলক ভাবে কম ব্যয়বহুল।

দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।

তুলনামূলক ভাবে কম দীর্ঘস্থায়ী (১০-১৫ বছর)।

সার্জারি প্রয়োজন।

সার্জারি প্রয়োজন নেই।

ফাইবার ব্রিজ চিকিৎসা বিষয়ক কিছু সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর:

ফাইবার ব্রিজ হলো হারানো দাঁত প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি নন-সার্জিকাল বিকল্প। এটি গ্লাস ফাইবার এবং কম্পোজিট দিয়ে তৈরি, যা ন্যাচারাল দাঁতের মতই দেখতে লাগে।

যাদের একটি দাঁত নেই এবং পাশে ন্যাচারাল দাঁত আছে। যারা দাঁত রুট ক্যানেল করতে চাচ্ছেন না।

ন্যাচারাল দাঁত কাটতে হয় না। পাশের দাঁত রুট ক্যানেল করতে হয় না। মাত্র ১ দিনেই চিকিৎসা সম্পন্ন করা যায়। চিকিৎসাটি সম্পূর্ণ ব্যাথামুক্ত।

স্থায়িত্ব: তুলনামূলক কম স্থায়ী, ১০-১৫ বছর স্থায়ী হতে পারে।
ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা: ক্যাপ ব্রিজের তুলনায় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

নিয়মিত ব্রাশিং এবং ফ্লসিং: দিনে দুবার ব্রাশ করুন এবং একবার ফ্লস করুন।
নিয়মিত ডেন্টাল চেক-আপ: প্রতি ৬ মাস অন্তর ডেন্টিস্টের কাছে যান।
কঠিন খাবার এড়িয়ে চলুন: বরফ, বাদাম, এবং কঠিন খাবার এড়িয়ে চলুন।

ব্রিজের অবস্থান এবং ডেন্টিস্টের অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে খরচ পরিবর্তিত হয়। ৳ ৩০,০০০ – ৳ ৮০,০০০ পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে, টেক ডেন্টালে এই চিকিৎসার খরচ ৳ ২৫,০০০ 

যত্ন এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে স্থায়িত্ব পরিবর্তিত হয়। সাধারনত ১০-১৫ বছর স্থায়ী হতে পারে।

ক্যাপ ব্রিজ: দীর্ঘস্থায়ী এবং কম ব্যয়বহুল, কিন্তু ন্যাচারাল দাঁতকে রুট ক্যানেল করতে হয় এবং কাটতে হয়।

ডেন্টাল ইমপ্লান্ট: দীর্ঘস্থায়ী এবং সবচেয়ে কার্যকর বিকল্প, কিন্তু সবচেয়ে বেশি ব্যয়বহুল এবং সার্জারির প্রয়োজন।

ডেন্টিস্টের সাথে কনসাল্টেশন: আপনার জন্য ফাইবার ব্রিজ উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করবেন।
দাঁতের শিকড় তোলা: ফাঁকা স্থানে যদি আগের দাঁতের শিকড় রয়ে যায় তবে তা আগে তুলতে হবে। এবং ৭-১৪ দিন পরে ঘা শুকালে উক্ত স্থানে ফাইবার ব্রিজ করা যাবে।

তৎক্ষণ ডেন্টিস্টের সাথে যোগাযোগ করুন।
ডেন্টিস্ট ব্রিজ মেরামত করবেন অথবা প্রতিস্থাপন করবেন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার জন্য সহায়ক হবে। আপনার দাঁতের ডাক্তারের সাথে কথা বলুন ফাইবার ব্রিজ আপনার জন্য উপযুক্ত কিনা তা নির্ধারণ করতে।