ফিলিং কীঃ
দাঁতের সবচেয়ে উপরের স্তরের নাম এনামেল। যখন এই এনামেল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যায়, তখন তা পরিস্কার করে স্থানটি ভরাট করে দেওয়া হয়, যা দাঁতের ফিলিং নামে পরিচিত। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ফিলিং আবিষ্কৃত হয়েছে যেমন – এমালগাম, কম্পোজিট, গ্লাস আইনোমার ইত্যাদি। এর মধ্যে কম্পোজিট ফিলিংই বর্তমানে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও সর্বজন স্বীকৃত।

বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি সৌন্দর্য সচেতন তাই তারা এখন দাঁতের রঙের সাথে মিলিয়ে ফিলিং চায়। এই ফিলিং কম্পোজিট ফিলিং নামে পরিচিত। কম্পোজিট ফিলিং মূলত রেসিন বা প্লাস্টিক ও গ্লাসের মিশ্রণে তৈরি এবং এতে দাঁতের জন্য উপকারী ফ্লোরাইড দেওয়া থাকে।
কম্পোজিট ফিলিং এর সুবিধা
- সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি বিভিন্ন শেডের পাওয়া যায় যা মানুষের দাঁতের রঙের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়।
- কম্পোজিট ফিলিং ভেঙ্গে গেলে শুধু ভাঙ্গা অংশে ফিলিং করা যায়।
- সামনের ও পিছনের দিকের সব দাঁতে ব্যবহার করা যায়।
- শুধুমাত্র দাঁতের ক্ষয়রোগ নয়, এটি দাঁতের ভাঙ্গা অংশে, দাঁতের মাঝের ফাঁকা কিংবা ডায়াস্টেমা বন্ধ করতে অথবা রং নষ্ট হয়ে যাওয়া দাঁত স্বাভাবিক দেখাবার জন্য করা হয়ে থাকে।
- পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত কোনো উপাদান এতে ব্যবহৃত হয় না।
ফ্লোরাইডযুক্ত থাকে, যা দাঁতের জন্যে উপকারী।
কম্পোজিট ফিলিং এর অসুবিধা
- খরচ তুলনামূলক ভাবে একটু বেশি।
এমালগাম ফিলিং/গ্লাস আইনোমার ফিলিংয়ের তুলনায়।
কম্পোজিট ফিলিং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
কম্পোজিট ফিলিং এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
কম্পোজিট ফিলিং করতে কতক্ষণ সময় লাগেঃ
কম্পোজিট ফিলিং করতে প্রতি দাতের জন্য সময় লাগে ২০ থেকে ২৫ মিনিট।
কম্পোজিট ফিলিং খরচঃ
কম্পোজিট ফিলিং খরচ ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। ক্লিনিক ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
কম্পোজিট ফিলিং টেক ডেন্টালে কেন করবেনঃ
আমরা প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি একবার ব্যবহার করি যা দ্বিতীয়বার আর ব্যবহার হয় না। সম্মানিত রোগীদের জন্য যন্ত্রপাতি গুলো সর্বোচ্চ জীবনমুক্তকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। উন্নত মানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার নিশ্চিত করি। অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জন দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।