কম্পোজিট ভেনিয়ার কীঃ
কম্পোজিট ভেনিয়ার হচ্ছে এমন এক ধরণের পদার্থ বা পাতলা আবরণ যা ফাঁকা দাঁতের উপর বসানো হয় ।অর্থাৎ আপনার দাঁতের কালার ম্যাচিং করে অথবা দাতে কতটুকু অংশ ফাঁকা আছে সেই দিক বিবেচনা করে যে পাতলা প্রলেপ দেওয়া হয় এটাই মূলত কম্পোজিট ভেনিয়ার।

কম্পোজিট ভেনিয়ার কখন করা হয়ঃ
দাঁত মানুষের সৌন্দর্যের একটি অংশ বলা চলে কেননা মানুষ যখন হাসে তখন তার হাসির মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব ফুট ওঠে। আর দাঁতগুলো একটু ফাঁকা দেখালে তখন একটু অস্বস্তি বোধ হয়। আর এই কারণেই ফাঁকা দাঁত গুলো পূরণ করার জন্য ভেনিয়ার চিকিৎসা করা হয়।
কম্পোজিট ভেনিয়ার কেন করেঃ
দাঁত যদি ফাঁকা ভাঙ্গা অথবা দাগ যুক্ত হয়ে থাকে তাহলে চিন্তার কোন শেষ থাকে না। তবে যেকোন সমস্যার সমাধান অবশ্যই থাকে। আর দাঁতের ফাঁকা অথবা ভাঙ্গা দূর করার জন্য সবথেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে দাতের কম্পোজিট ভেনিয়ার করা।
কম্পোজিট ভেনিয়ার সুবিধাঃ
ভেনিয়ার করা দাঁতগুলো ন্যাচারাল দাঁতের মতোই সুন্দর দেখায়। ব্যথা মুক্তভাবে কম্পোজিট ভেনিয়ার চিকিৎসা করা যায়।
কম্পোজিট ভেনিয়ার অসুবিধাঃ
একটু অস্বস্তি বোধ হতে পারে। চার থেকে পাঁচ দিনের ভিতর ঠিক হয়ে যায়।ভেনিয়ার করা দাঁতগুলো দিয়ে যেকোনো প্রকার শক্ত খাবার খাওয়া হতে বিরত থাকতে হতে পারে।
কম্পোজিট ভেনিয়ার করার সময়কালঃ
কম্পোজিট ভেনিয়ার করতে দুই দাঁতের মাঝে ফাঁকা হলে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা ১ ঘণ্টা সময় লাগে। যদি ফাঁকা বেশি হয় সেক্ষেত্রে টাইম একটু বেশি সময় লাগতে পারে।
কম্পোজিট ভেনিয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
কম্পোজিট ভেনিয়ার চিকিৎসার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
কম্পোজিট ভেনিয়ারের স্থায়িত্বকালঃ
কম্পোজিট ভেনিয়ার চিকিৎসা ১০ থেকে ১৫ বছর স্থায়ী হয়ে থাকে। টেক ডেন্টাল এর পক্ষ থেকে পাবেন দুই বছরের ফ্রি সার্ভিস ওয়ারেন্টি ।
কম্পোজিট ভেনিয়ারের খরচঃ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই চিকিৎসার খরচ প্রতি দাতের জন্য ৪ হাজার টাকা থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত। দুই দাঁতের মাঝে ফাঁকা হলে আট হাজার টাকা থেকে বিশ হাজার পর্যন্ত।
কম্পোজিট ভেনিয়ার টেক ডেন্টালে কেন করবেনঃ
আমরা প্রত্যেক রোগীর জন্য আলাদা আলাদা যন্ত্রপাতি একবার ব্যবহার করি যা দ্বিতীয়বার আর ব্যবহার হয় না। সম্মানিত রোগীদের জন্য যন্ত্রপাতি গুলো সর্বোচ্চ জীবনমুক্তকরণ পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি। উন্নত মানের ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার নিশ্চিত করি। অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জন দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।